সম্পাদকীয়
***********
গত ৭ অক্টোবর ২০২৫ইং তারিখে দৈনিক ইনকিলাবে “ডিসির ক্ষমতার দাপট, অতিষ্ট মৌলভীবাজারের জনগণ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদের একটি জায়গায় লেখা হয়েছে “কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিয়ে রিরোধ দেখা দিলে
একটি রাজনৈতিক দলের ফরমাইশ গ্রহণকরে জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ২০২৫ সালের ২৩ মে
এক মাদ্রাসা শিক্ষককে তার কার্যালয়ে ডেকে এনে কাষ্টরী করেন।
এসময় সাথে থাকা অন্যান্য মাদ্রাসার শিক্ষকদের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিতে সভাপতি পদে ওই এলাকার বিতর্কিত এক ব্যক্তিকে রাখার নির্দেশ দেন।
ওই ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখতে এলাকাবাসীর অনীহাকে আগ্রহ্য করেন তিনি”।
অথচ বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রকৃত ঘটনা হল,
মাদ্রাসার নির্বাহী কমিটি মনোনয়ন সংক্রান্ত একটি সরকারি পত্র জালিয়াতি করে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য
মো: ফজল আহমদ ফজলু’কে সভাপতি, তার আপন চাচা তনজব আলী’কে সদস্য সচিব ও কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক আব্দুল জলিল তোলা’কে সদস্য করা হয়।
এ জালিয়াতি সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন মাদ্রাসার তথাকতিত সুপার আল ইসলাহ নেতা মো: মাছুম আহমদ ও কমিটির সদস্যরা।
জালিয়াতির কারণেই সুপারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন।
কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আল ইসলাহ নেতা শিক্ষক মাওলানা মো. মাছুম আহমদ একই সাথে কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরীবাজার জিএস কুতুব শাহ দাখিল মাদ্রাসায় কর্মরত। দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নিচ্ছেন।
একাধিক প্রমাণ থাকার পরেও এখন পর্যন্ত উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিস জালিয়াতিকারী আল ইসলাহ নেতা শিক্ষক মো: মাছুম আহমদ এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এনিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে এলাকার সচেতন মহলে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জারি হওয়া একটি সরকারি পত্রের তারিখ পরিবর্তন করে
১০ নভেম্বর ২০২৪ দেখিয়ে সেটি মাদ্রাসা বোর্ডে পাঠানো হয়। মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ কমিটি অনুমোদন দেন।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক এ কমিটি বাতিলের জন্য বোর্ডে পত্র প্রেরণ করেন।
নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগ ও একটি আঞ্চলিক সংগঠনের জালিয়াতি দামাচাপ দিতে এরকম মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত নিউজ করানো হয়েছে।