স্টাফ রিপোর্টার
**************
মৌলভীবাজার জেলায় অনৈতিকভাবে কিছু দুষ্ট লোকের চক্রান্ত এবং অন্যায় বিচারের মধ্য দিয়ে একজন নিরীহ মহিলাকে ঘরবন্দী এক ঘরে করা হয়েছে!!
এক ঘরে করা শিফা আক্তার জানান, আমি একজন পঞ্চায়েত বাদ এক ঘরে মহিলা ! পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব অসহায় নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছি ।
আমার অপরাধ আমার ক্রয় কৃত জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা করতে না দেয়া । বিবেকবান মানুষ আইন যা করেনা আমার পরিবারের প্রতি তা করা হয়েছে ।আমি সমাজ ও আইনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সারা বা ন্যায় বিচার পাচ্ছি, ৭ নং চাঁদনী ঘাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান আহমদ মিয়ার একতরফা অন্যায় বিচার মেনে না নেয়ায় আজ আমি সমাজের এক ঘরে !!
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গেলে বলেন এ বিষয় তার এখতিয়ারে পড়ে না ,থানা পুলিশের নিকট গেলে বলেন এটা তাদের করার কিছু নেই, ন্যায় বিচার কোথায় পাবো অন্যায় ও অপমান সহ্য করতে না পেরে আমাদের শেষ পরিণতি কি হবে বলতে পারব না ।
আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী সৈয়দ সুফিয়া আক্তার স্বামী কামরুল ইসলাম গ্রাম পাহাড় বরশিজুরা, ৭ নং চাঁদনী ঘাট ইউপি মৌলভীবাজার সদর মৌলভীবাজারের স্থায়ী বাসিন্দা ,মৌলভীবাজার সদরের আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমি স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছি।
আমার পাহাড় বড়শিজুড়া মৌজার জে এল নাম্বার ১০৪ ,দাগ নাম্বার ৩০৯ , ১৬ শতক জমির মধ্য দিয়ে ওই গ্রামের মাসুদ মিয়া ও তার ৪ ছেলে রুয়েল মিয়া জুয়েল মিয়া আল আমিন ও মোস্তাফিজ মিয়া জোরপূর্বক তাদের বাড়ির রাস্তা করতে চায়,, বিষয়টি নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সহ গ্রামের মুরুব্বী ২০২১ সালে বৈঠক বসেন ।
আমার উপরোক্ত দাগের এক পার্শ্ব দিয়ে রাস্তার জমি দেয়ার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ।তারা পার্শ্ব দিয়ে রাস্তা না করে আমার জমির মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করতে চায় । পরবর্তীতে ৭ নং চাঁদনী ঘাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমদ মিয়া সহ ৫ ৬ মাস আগে আবারো বৈঠক হয় বৈঠকে আগের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকে কিন্তু এরপর রায় ঘোষণা করার কথা বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহমদ মিয়া ইউনিয়ন অফিসে দরজা বন্ধ করে আমাদেরকে বাহির করে দিয়ে একতরফা আমার জমির মধ্যে মৌরসি রাস্তা বলে রায় দেন । পরবর্তীতে তারা আমার জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা করার চেষ্টায় অব্যাহত রাখে ।
জমিতে রোপন করা গাছ লাগানো উপরে ফেলে,, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান সৈয়দ গুনিমিয়া পিতা সৈয়দ মুনাফ মিয়া,, সৈয়দ খোরশেদ মিয়া পিতা আব্দুল করিম, সৈয়দ জাহাঙ্গীর মিয়া পিতা সৈয়দ বাবুল মিয়া,, সাথে মাসুদ মিয়া ও তার চার ছেলে রুয়েল মিয়া ,জুয়েল মিয়া ,আল আমিন ও মুস্তাফিজ মিয়া যুগসংযোগ করে রাস্তা নির্মাণ করার পাঁয়তারা ব্যক্তিরা আমার পরিবারকে গ্রামের পঞ্চায়েতবাদ ঘোষণা দিয়েছেন !!
আমাদের পরিবারের সাথে কেউ লেনদেন ও কথা বলা নিষেধ দেওয়া হয়েছে যে ,আমাদের সাথে কথা বলবে তাকেও গ্রামের পঞ্চায়েতের বাদ করা হবে। আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে ,,ছেলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে আমার স্বামী স্ট্রোকের রোগী , যেকোন সময় তাহার এই সমস্ত কারণে পুনরায় স্ট্রোক করতে পারেন করতে পারেন ।আমি এই বিষয়ে মৌলভীবাজারের পরবর্তী ইউএনও তাজউদ্দিনের নিকট গেলে তিনি মৌলভীবাজার মডেল থানায় প্রেরণ করেন ,,পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার কথা বললে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পুলিশ কে ফোন দিয়ে বলেন তিনি রায় দিয়েছেন সেখানে আর কোন বিচার চলবে না !! বর্তমান ইউএনও নিকট বিষয়টি লিখিতভাবে অবগত করলেও কোন উত্তর পাচ্ছি না আমরা কোথায় যাব ন্যায় বিচারের জন্য ??
এদিকে ওপর উল্লেখিত ব্যক্তিরা ও ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যেকোনো সময় আমাদের ক্ষতি করতে পারে এত কিছুর পর বুঝেছি ন্যায়বিচার তো পাবো না বরং আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা সামাজিক ও মানসিকভাবে খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি,, যদি আমাদের কিছু হয়ে যায় তাহলে গুরুত্ব ব্যক্তিরা দায়ী থাকবে বলে এই নিরীহ মহিলা জানান।