সম্পাদকীয়
*************
মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন যার কর্মদক্ষতা, সুশাসন , সুব্যবস্থা, ধর্মের প্রতি সম্মান ,ছোট বড় গরিব-দুখী সহ প্রত্যেক স্তরের মানুষের প্রতি
সম্মান আর ভালোবাসার মধ্য দিয়ে গড়েছেন মধুর এক সম্পর্ক ।
একটি প্রবাদ বাক্য আছে যে , সত্য সবসময় কঠিন হয় , ইসরাইল হোসেন যেহেতু ন্যায়কে ন্যায় আর অন্যায়কে অন্যায় বলে সম্মোধিত করেন ,
তাই সমাজে যেসব দুষ্কৃতিকারী বিচরণ করে প্রত্যেকটি স্তরে,তাদের আপন হতে পারেন নি তিনি !!
অসচ্ছল মানুষ সহ অসচ্ছল অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সচ্ছল করেছেন বিগত এক বছরে ।
যেখানে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করতে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়,
সেই জায়গা থেকে একজন অসহায় দরিদ্র দিনমজুরও সরাসরি তার কক্ষে প্রবেশ করে তার সমস্যা ও সহায়তার চাওয়ার সুব্যবস্থা তিনি করে রেখেছেন ।
মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি সম্মান আর ভালোবাসা ন্যায়পরায়ণতার আরেক নাম ইসরাইল হোসেন বলে আখ্যায়িত করেছেন সাধারণ মানুষ ।
কাজে বিশ্বাসী তিনি তাই ঘড়ি দেখে কাজ করে ঘরে ফিরে যাওয়ার মানুষের মধ্যে পড়েন না তিনি ,
তাই ওনার সাথে কর্মরত অনেকেই অনেকাংশে বিরক্ত বোধ করেন , কারণ তার মত ঘড়ির সময় না দেখে কাজ করার অভ্যাসটা অনেকেরই নেই ।
মৌলভীবাজারের জনসাধারণ কে এবং মৌলভীবাজার এই জেলার বিভিন্ন সেক্টরকে সমৃদ্ধ করতে সকাল ১০ টা থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি ।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এর পতনের পর মৌলভীবাজার জেলার গণমাধ্যম কর্মীদের নানা বিভাজন সৃষ্টি হয় যা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান ,
কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে যাতে এই সহিংসতা না থাকে , তারা সবাই যাতে এক হয়ে কাজ করতে পারে তার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে বারবার
মৌলভীবাজার জেলার প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিক কে নিয়ে নিজ উদ্যোগে বসার ব্যবস্থা করেছেন।
মৌলভীবাজার জেলা/ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকদের পরিচালনা কমিটিকে সমৃদ্ধ করতে বিতর্কিত ব্যক্তি ও কমিটিতে বসে ফায়দা লুটা ব্যক্তিদেরকে
অপসারণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার মান উন্নয়নে ও জেলার মাদ্রাসা গুলোকে সমৃদ্ধ করতে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি ।
৫ ই আগস্ট সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলার সৈয়দ শাহ মুস্তাফা মাজারে রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামের আওতাধীন সুফি সঙ্গীত ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়
জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে
হামদ ও নাথ পরিবেশন শুনে , পরবর্তীতে মহানবী( সাঃ ) এর প্রতি সম্মান জানিয়ে মিলাদ মাহফিল করেন এবং পুরো কর্মসূচিকে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে পালন করেন।
এরকম নানান সুন্দর এবং স্বচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়ে বিগত এক বছরে সেগুলো মৌলভীবাজার জেলা বাসিকে স্বয়ং সম্পূর্ণভাবে উপহার দিয়েছেন তিনি ।
সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলা ও উপজেলার আনাচে কানাচে অনেক গরিব অসহায় মা বোন আর যারা টাকার অভাবে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কিছু করতে পারছেন না
এই সকল মা বোনদের কে যোগ্যতা অনুযায়ী, কাউকে সেলাই মেশিন , গরু পালন, হাঁস মুরগি পালন সহ যার যার অবস্থা আর সুযোগ সুবিধা মত সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি ।
অসহায় দরিদ্র ভূমিহীন ১০০ এর উপরে পরিবারকে
ঘরবাড়ি বানিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার এবং দলিল সহ জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ।
মৌলভীবাজারের অধিকাংশ জনগণ এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ সহ সবাই মৌলভীবাজার এর জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেনের কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের বক্তব্যে তিনি বলেন মহান আল্লাহর রহমতে জেলা প্রশাসক হিসেবে এই জেলায় আমার এক বছর পূর্তি হল
আমাকে এই জেলাবাসী যথেষ্ট ভালোবাসা সম্মান আর সহযোগিতা করেছেন আমি কৃতজ্ঞ তাদের কাছে ।
মহান আল্লাহ সকলকে দুনিয়া ও পরকালে উত্তম প্রতিদান দিন ।